২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের রাজ্যে প্রচারে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার তিনি আসলেন বাঁকুড়ার তিলাবেদিয়া ময়দানে। তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের দূর্নীতি নিয়ে সরব হলেন এবং বিজেপিকে সোনার বাংলা গঠনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বানও করলেন বিশাল জনসভায়। তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বললেন, ‘বিজেপি স্কিমে চলে, তৃণমূল স্ক্যামে চলে, স্কিম যে কোনও সরকারই করুক, তৃণমূল স্ক্যামের জন্য কোনও না কোনও উপায় বের করেই নেয়। তৃণমূলের মন্ত্র হল যেখানে স্কিম সেখানে স্ক্যাম’। যে প্রকল্পে দুর্নীতি করা যায় না, তা তৃণমূল চালু করে না, মন্তব্য নরেন্দ্র মোদির। এরপরই তাঁর কটাক্ষ, দিদি এখন থেকেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে করেছেন? দিদি আপনি দিনেও পরাজয় দেখেন, রাতেও পরাজয় দেখান। আসুন আমরা সংকল্প করি, এবার বিজেপি, এবার নিশ্চয় আসছে বিজেপি।
এদিন বাঁকুড়া থেকেও বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের পক্ষে সাওয়াল করেন মোদি। স্থানীয় সমস্যার কথাও তুলে ধরেন সেই সঙ্গে। মোদি এদিন বললেন, বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার বাঁকুড়ার টেরাকোটা শিল্পে নজর দেবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এলেই বাঁকুড়ায় জলপ্রকল্প হবে। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাঁকুড়ায় পর্যটনে জোর দেওয়া হবে, তেমনই জোর দেওয়া হবে স্থানীয় শিল্প কারখানায়। তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে এরপরই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, দিদি, আপনি ভেবেছিলেন কেউ কোনও প্রশ্ন করবে না। কিন্তু গোটা রাজ্য প্রশ্ন করছে, কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে। কিন্তু বাঁকুড়ায় জল নেই কেন? জমিতে জল নেই কেন?
এরপর সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি দেওয়াল লিখনের ছবির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তৃণমূল কর্মীরা আমার মাথার উপরে দিদির পায়ের ছবি আঁকছেন। তা ভালো, আমি দেশের জন্য নিজের মাথা উৎসর্গ করেছি। দিদি, আমি আপনাকে বাংলার বিকাশকে লাথি মারতে দেব না, মানুষের স্বপ্নকে লাথি মারতে দেব না। এরপরই তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে ভোটে শিক্ষা দিতে চায়, এটা দেখে দিদি ঘাবড়ে গিয়েছেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback