এবারের বাংলা সফরে অখুশি অমিত শাহ, তিনি অসম থেকে দিল্লি যাওয়ার বদলে সোমবার রাতে কলকাতায় ফেরেন, এবং রাতভর নিউটাউনের এক হোটেলে বৈঠক করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে কলকাতায় ডেকে পাঠান সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহ দিল্লি চলে গেলেও এবার বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দিল্লিতে তলব করলেন। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন রাতেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়কে। একজন রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং অন্যজন সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি। জরুরি তলবে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ আজ রাতেই অমিত শাহের সাথে বৈঠকে বসছেন। সূত্রের খবর, দুজনকেই এবার প্রার্থী করতে চাইছে দিল্লির বিজেপি নেতারা। দিলীপকে বীরভূমের কোনও আসন এবং মুকুলকে নদিয়ার কোনও আসনে প্রার্থী করা হতে পারে।
অপরদিকে, প্রার্থী নিয়ে এত ক্ষোভ কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। অমিত শাহ বাংলার দায়িত্ব নিয়ে নবান্ন দখল করতে মরিয়া। কিন্তু ইদানিং কালে রাজ্যের সাংগঠনিক কাজে তিনি সন্তুষ্ট নন বলেই জানা যাচ্ছে। সেটা নিয়ে যেমন মঙ্গলবার রাতে আলোচনা হতে পারে, তেমনই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের জনসভায় কেন লোক হচ্ছে না সেটাও বোঝার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাবে বাকি চার দফার প্রার্থী তালিকা। কারণ শেষ দুই দফার তালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সেটা কিভাবে মেটানো যায় এবং কারা কারা প্রার্থী হলে গ্রহনযোগ্য সমাধান হবে সেটাও উঠে আসবে আলোচনা। সে কারণেই সমস্ত ‘ইতিবাচক’ আসনে দলের ওজনদার নেতানেত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বাকি আসনগুলিতেও ‘ওজনদার’ প্রার্থী হিসেবে দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মতো নেতাদের টিকিট দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু মুকুল রায় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্য ছিলেন, তাঁর পক্ষে বিধানসভার প্রার্থী হওয়া কি সম্মানের হবে? এই প্রশ্নও তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আগামীকাল চূড়ান্ত হবে সবকিছু এবং বৈঠক হবে দিল্লিতে জেপি নাড্ডার বাসভবনে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback