নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নজরবন্দি করার কথা বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু বুধবার অর্থাৎ নির্বাচনের আগের দিন দুপুরেই বেপাত্তা হয়ে গেলেন অনুব্রত। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা যাচ্ছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে বের হন অনুব্রত। তাঁর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গাড়ি। বাড়ি থেকে বের হয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রথমে নানুরে যান, দলীয় কার্যালয়ে কিছুক্ষণ কাটিয়ে ফের বেরিয়ে যান। এরপর যান লাভপুরে। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে বের হন। ফের তাঁর গাড়ির পিছু নেয় কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির কনভয়। কিন্তু সিনেমার মতোই মাঝ রাস্তায় আচমকা গতি বাড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি ‘বেপাত্তা’ হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই সময় একটি অন্য গাড়ি সামনে এসে যাওয়ায় আটকে যায় কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। তার পর থেকেই নাকি অনুব্রতর গাড়ি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তারাপীঠে পুজো দিলেন অনুব্রত মণ্ডল
এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলকে খুঁজে বেড়াচ্ছে কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।বীরভূমের জেলাশাসক নিজেও খুঁজছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনুব্রতর খোঁজে বীরভূমের একাধিক থানায় খবর দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শেষ দফার ভোটে বীরভূমের ১১টি আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগেই তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নজরবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য কমিশনের নজরবন্দি থাকতে হবে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে। গত লোকসভা নির্বাচনেও অনুব্রতকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল কমিশনকে। ভোটের দিন কার্যত নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন তিনি। এবার তাই আরও সতর্ক ছিল কমিশন। তবুও ভোটের একদিন আগে কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ‘বেপাত্তা’ হলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে সূত্র মারফত যাচ্ছে তিনি ইতিমধ্যেই সাইথিয়ায় দলীয় পার্টি অফিস ঘুরে
ময়ুরেশ্বরে যান। এমনকি তারাপীঠে গিয়ে পুজোও দিলেন তারা মায়ের মন্দিরে।
আপাতত তাঁর বাড়ির সামনেই প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা
হয়েছে। রয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাও।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback