নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে যথেষ্ট রিলাক্স লাগছে সকাল থেকেই। বুথ থেকে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। সকাল সকাল ভোট দিয়ে দিয়েছে। ভোট দিয়ে বারবার সময়ে তিনি হেসে বলেন অন্তত ৬০টি বুথে তৃণমূল এজেন্টই দিতে পারেনি। হঠাৎ এমন বললেন কেন? প্রথমত তিনি সরকার বা প্রশাসনে নেই কারণ ক্ষমতায় তৃণমূল। এবং নন্দীগ্রামে তাঁদের প্রার্থী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এজেন্ট দিতে পারছে না কেন, এর রহস্যটাই বা কি? নন্দীগ্রামেই একটি ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত সেটাই তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গৃহবন্দি রেখেছেন নিজেকে। ভোটের সকাল থেকে একটি বারের জন্যও তাঁকে বের হতে দেখা যায়নি। যদিও এটা নতুন কিছু নয়। কলকাতা পুরসভা হোক বা লোকসভা নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী বরাবর ঘরে বসে ভোটদানে নজর রেখেছেন। বিধানসভাতেও তাই করছেন।
যদিও তিনি নন্দীগ্রামের ভোটার নন, তাই আজ ভোট দেওয়ার বালাই নেই তৃণমূল নেত্রীর। কিন্তু সয়ং তৃণমূল নেত্রীর বিধানসভা এলাকায় এতগুলো বুথে এজেন্ট দিতে না পারার অভিযোগ ওঠার পরও নিশ্চুপ তিনি এবং দলীয় কর্মীরা। যদিও তৃণমূলের একাংশ অভিযোগ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁদের নাকি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নন্দীগ্রামে প্রশংসিত হচ্ছে। বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেছেন, ভোট খুব ভালো হচ্ছে। কিন্তু বেলার দিকে তাল কাটল নন্দীগ্রামে, একটি বুথে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে হল সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ। তাঁকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিল একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। এটা জয় শ্রীরামের পাল্টা কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এড়িয়ে গেলেন শুভেন্দু।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback