দ্বিতীয়বার করোনার প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে। এদিকে বিধানভা নির্বাচনও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন নির্বাচনী আধিকারিক। এদের মধ্যে এক মহিলা সহ দুই পর্যবেক্ষক রয়েছেন। এবার ভোটের ডিউটিতে আসা প্রত্যেককেই করোনার টিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার পরও অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হলেন। এটাই ভাবাচ্ছে কমিশনকে। ফলে করোনা আক্রান্ত প্রত্যেককেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন রিটার্নিং অফিসারও করোনায় আক্রান্ত। তাঁদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদের পরিবর্তে নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অপরদিকে আজ এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার অশ্বিনী কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। নির্বাচনী বিধিতে বুথের ভেতর বাহিনী অথবা পুলিশ কারোরই ঢোকার এক্তিয়ার নেই। কারণ, বিধি অনুযায়ী পুলিশ বা বাহিনীকে বুথের ভেতর ঢুকতে গেলে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে। ভোট দাতাদের পরিচয় পত্র খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ফাস্ট পোলিং অফিসারের। বুথের ভিতরে বাহিনীর জওয়ানরা শংসাপত্র দেখছেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে ব্যাপারে কমিশনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১১টি পরিচয়পত্র ভোটদানের জন্য বৈধ বলে বিবেচিত। এর মধ্যে যে কোনও একটা দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল দাবি করে অনেকেই বৈধ পরিচয় পত্র থাকা সত্বেও ভোট দিতে পারেননি। সেই অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে কমিশন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback