রাজ্যে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী বুধবার উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট থেকেই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। বললেন, রাজ্যে এখনই লকডাউন নয়, নোটবন্দির মতো গৃহবন্দি করার পক্ষে নই আমি। তাই লকডাউনের পথে হাঁটার কথা আমি ভাবছি না। তাঁর বক্তব্য, লকডাউন হলে মানুষের দুর্ভোগ হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আতঙ্কিত হবে না সাবধানে থাকুন। সেফ হাউসে থাকতে পারেন। নিজের বাড়িতেও নিভৃতবাসে থাকতে পারেন। সেফ হাউসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে’। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন লকডাউনের বদলে এলাকায় এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করে করোনা সংক্রমণ রোখার চেষ্টা করার ওপর জোর দিয়েছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পশ্চিমবঙ্গে ১৮ বছরের উর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু হবে ৫ মে থেকে। তিনি বলেন, রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। আরও ১ কোটি ডোজের আবেদন করা হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে ভ্যাকসিনের জন্য ১০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হবে। বাংলায় ৫ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে। এরজন্য কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্যাটেলাইট কাউন্সেলিং হবে । ১৭ জন চিকিৎসক মিলে এটা করবেন। তবে রাজ্যে যে অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে সেটাও এদিন স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাতটি রয়েছে, সামলানোর চেষ্টা করছি। এই সুযোগে যাতে অক্সিজেনের দাম না বাড়ে তার জন্যও পদক্ষেপ করা হয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback