২০২০ সালে যখন করোনা সংক্রমণ হুল ফোটাতে শুরু করেছিল রাজ্যে, সেইসময় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। ২০২১-এও সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তবে এবার আরও দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। ফলে রাজ্য সরকার ফের একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল। যার অধিকাংশ সেইসময় ছিল। ভোটমুখী রাজ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণ, বিগত কয়েকদিন দৈনিক সংক্রমণ সাত হাজার ছুঁয়ে ফেলছে। সেইসঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিল নবান্ন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সেগুলো ঠিকঠাক পালন হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে...
- যেখানে জনসমাগম হয়, সেইসব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। এখন ভোটের প্রচার চলছে, তাই ভোট প্রচারের ওপর নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে।
- বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে সপ্তাহে একদিন স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- পুরসভার এবং অন্যান্য বাজারগুলিতে নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে।
- গণপরিবহন এবং অন্যত্র মাস্ক পড়া এবং শারীরিক দুরত্ববিধি বাধ্যতামূলক। নিয়মিত নজরদারি চালানোর নির্দেশ।
- বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, দোকান, শপিং মলে সময় ভাগ করে দিতে নির্দেশ স্থানীয় প্রশাসনকে। ভিড় এড়াতেই এই ব্যবস্থা।
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ বা শিফটে কাজ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকে কাজের ব্যবস্থা চালু করতে নির্দেশ।
- শপিং মল, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স, হোটেলে প্রবেশ পথে স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
- কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে সব কর্মী মাস্ক এবং দুরত্ববিধি মেনে চলেন।
স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুলে আগের নিয়ম বলবৎ করা হল।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback