আগামীকাল ওঠায় ১লা মে থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যাবে ১৮ বছর উর্ধ্বদের গণ টিকাকরণের কাজ। যার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পর্ব শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কেন্দ্রীয় সরকারের CoWin, Aarogya Setu ও UMANG মোবাইল আপ অথবা পোর্টালের মাধ্যমে চালু আছে টিকার রেজিস্ট্রেশন। ইতিমধ্যেই প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছেন গোটা দেশে। কিন্তু টিকার যোগান নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে রাজ্যগুলির। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৩ কোটি টিকার ডোজ চাইল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেইসঙ্গে ৪৫ বছর উর্ধ্বদের জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ ‘বিনামূল্যে টিকা’ আলাদাভাবে চাওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১৮ উর্ধ্বদের গণ টিকাকরণে মোট ১.৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পশ্চমবঙ্গ সরকার।
প্রত্যেকের দুটি করে ডোজ হিসেবে মোট তিন কোটি করোনা টিকার ডোজের বরাদ দেওয়া হল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এরমধ্যে সরকারি পরিকাঠামোয় ১ কোটি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মাধ্যমে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ১ মে থেকে সার্বিক টিকাকরণের কাজ শুরু করতে পারবে না বহু রাজ্য। কারণ টিকার যোগান কম থাকায় অনেক রাজ্য করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ১ মে থেকে সার্বিক টিকাকরণ কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে। তবে টিকার কাঁচামাল সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা তুলে ভারতকে টিকার কাঁচামাল পাঠাতে শুরু করেছে। ফলে টিকার যোগান শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback