করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন দেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল সোলি জাহাঙ্গীর সোরাবজি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শুক্রবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয়।
সোরাবজির প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, আমরা ভারতীয় আইন ব্যবস্থার একজন আইকনকে হারালাম।
In the passing of Soli Sorabji, we lost an icon of India's legal system. He was among the select few who deeply influenced evolution of constitutional law & justice system. Awarded with Padma Vibhushan, he was among most eminent jurists. My condolences to his family & associates.
— President of India (@rashtrapatibhvn) April 30, 2021
প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিও টুইটে জানিয়েছেন, অসামান্য আইনজীবী এবং বুদ্ধিজীবী ছিলেন সোলি সোরাবজি। আইনের মাধ্যমে তিনি দরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় অগ্রণী ছিলেন। উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য তাঁকে স্মরণ করা হবে।
Shri Soli Sorabjee was an outstanding lawyer and intellectual. Through law, he was at the forefront of helping the poor and downtrodden. He will be remembered for his noteworthy tenures India’s Attorney General. Saddened by his demise. Condolences to his family and admirers.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 30, 2021
দেশের প্রধান বিচারপতি নুথলাপতি ভেঙ্কট রমনাও শোক জানিয়েছেন।
১৯৩০ সালে বম্বেতে এক পার্সি পরিবারে জন্ম সোরাবজির। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশুনা শেষ করে আইনের পাঠ নেন বম্বের সরকারি আইন কলেজে। ১৯৫৩ সালে বম্বে হাইকোর্টে পেশাগত জীবন শুরু করেন সোরাবজি। ১৯৭১ সালে বম্বে হাইকোর্টের সিনিওর অ্যাডভোকেট হন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০, সলিসেটর জেনারেল হিসাবে কর্মরত ছিলেন সোরাবজি। দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব নেন ১৯৮৯ সালের ৯ ডিসেম্বর। প্রায় একবছর কর্মরত ছিলেন তিনি।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোরাবজি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার রক্ষা সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন সোরাবজি। বাক স্বাধীনতার অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে সরব ছিলেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রকাশনা সংস্থাগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রেও। মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি ছিল। ২০০২ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন সোরাবজি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback