চতুর্থ দফার ভোটে গত শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন পাঁচজন। এরমধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। অন্য এক বুথে রাজনৈতিক গোলমালের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সিআইডি। সেই তদন্তের অগ্রগতি কতটা সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আগামী ৫ মে’র মধ্যে হাইকোর্টে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় এক জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেছিলেন জনৈক ফিরদৌস শামিম নামে এক ব্যক্তি। মামলায় দাবি করা হয়েছিল, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা, আগামী দিনে অভিযুক্তদের ভোট প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য প্রদান। শুক্রবার ছিল এই মামলার শুনানি। গত ১০ এপ্রিল কোচবিহারের মাথাভাঙা থানার শীতলকুচিতে একটি বুথে গোলমালের জেরে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই ঘটনায় দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের হয়েছে মাথাভাঙা থানায়। একটি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অন্য এফআইআর দায়ের করেছে সিআইএসএফ। পরে তদন্তভার হাতে নেয় রাজ্য সিআইডি। সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback