দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের ‘ডবল মিউটেন্ট’ স্ট্রেন। এরই মধ্যে হায়দরাবাদের বিজ্ঞানীদের দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। এবছর প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্রের দেখা যায় করোনা ভাইরাসের এই ‘ডবল মিউটেন্ট’ স্ট্রেনটি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় মারণ ভাইরাস করোনার ‘ডবল মিউটেন্ট’ স্ট্রেনটি B. 1. 617 নামে পরিচিত।
হায়দরাবাদের ওই বিজ্ঞানীদের মতে, করোনা ভাইরাসের ‘ডবল মিউটেন্ট’ স্ট্রেনটি পুনরায় বিভাজিত হয়ে আরও তিনটি সাব-স্ট্রেন (B. 1. 617. 1, B. 1. 617. 2 ও B. 1. 617. 3) তৈরি করতে সক্ষম।
মহারাষ্ট্রের তুলনায় ব্যপ্তি কম হলেও, পরবর্তী সময় দেশের অন্যপ্রান্তেও এই ‘ডবল মিউটেন্ট’ স্ট্রেনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহারাষ্ট্র ও কেরলের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে এই মুহূর্তে ‘ডবল মিউটেন্ট’ স্ট্রেনটির অস্তিত্ব রয়েছে, যেখানে কোভিড আক্রান্তের ক্ষেত্রে এর শতকরা হার ৫ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকে। তবে পরবর্তীতে মহারাষ্ট্রে এই হার প্রায় ৭০ শতাংশে পৌঁছয়।
চিকিৎসকরাও মনে করছেন, ভারতের আবহাওয়ার সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে নয়া স্ট্রেন। তাই তাঁরা মহারাষ্ট্র ও দেশের অন্য অংশে ভাইরাসের নতুন এই স্ট্রেনটির পাশাপাশি তার স্থানীয় রূপগুলির উপর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও হায়দরাবাদের বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এনিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback