দক্ষিণ চিন সাগরে ড্রাগন বাহিনীকে ঠেকাতে এতদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে ভারত-আমেরিকার নৌসেনা। কিন্তু এবার অনেকটাই উল্টো চিত্র সামনে এল। লক্ষদ্বীপের কাছে আরব সাগরে বিনা অনুমতিতেই টহল দিল মার্কিন রণতরী। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, জো বাইডেনের শাসনকালের শুরুতেই কি কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে চলেছে ভারত-আমেরিকা? যদিও আমেরিকার দাবি তাঁরা কোনও অন্যায় করেনি। তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল এখনও পর্যন্ত নীরব ভারত।
গত বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন নৌসেনার সেভেনথ ফ্লিট (সপ্তম বাহিনী) জানিয়েছে, লক্ষদ্বীপের পশ্চিমে ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বের জলসীমায় চলাচলের অধিকার এবং স্বাধীনতা তুলে ধরেছে ইউএসএস জন পল জোনস। পাশাপাশি বিবৃতিতে এও দাবি করা হয়েছে, সমুদ্রপথে ভারত যে অত্যধিক দাবি করে, তা চ্যালেঞ্জ করেই সেই মহড়া চালানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনে প্রদত্ত অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমুদ্রের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সেই অভিযান চালানো হয়েছে।
আমেরিকার দাবি, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনে এর জন্য আগে থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে সামরিক মহড়া বা কসরত চালাতে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনে এই নিয়ম খাটে না’। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপুঞ্জের সমু্দ্র আইন অনুযায়ী, উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম চালানোর অধিকার রয়েছে কোনও দেশের। যাকে পরিভাষায় বলা হয় ‘নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল’। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিনা অনুমতিতে এভাবে ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে কিভাবে ঢুকে পড়ল মার্কিন রণতরী?
মার্কিন দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই আইনে সায় দিয়ে যে সমস্ত দেশ স্বাক্ষর করেছে, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম। তবে আমেরিকা ওই আইনে স্বাক্ষর করেনি। তাই আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সুরক্ষা আইন অনুযায়ী লক্ষদ্বীপের কাছে টহল দিয়ে মার্কিন নৌবাহিনী কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেনি। যদিও আমেরিকার নৌবাহিনীর এই পদক্ষেপ ভারতের সামুদ্রিক সুরক্ষা নীতির পরিপন্থী বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। তবে দিল্লির তরফে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback