চতুর্থ দফা ভোটের আগে ফের শহরে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। শুক্রবার সকালেই কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি সোনার বাংলা গড়ার জন্য বিজেপির কি কি পরিকল্পনা রয়েছে সেটাও শোনালেন। তৃণমূলনেত্রীকে এদিন অমিত শাহ তুলোধনা করলেন। অমিত শাহর কটাক্ষ, সংখ্যালঘুদের একজোট হওয়ার আর্জি করেছেন দিদি। এতে স্পষ্ট উনি সংখ্যালঘু ভোটও হারাচ্ছেন। নইলে এই ধরনের আবেদন করবেন কেন! পাশাপাশি তাঁর দাবি, এই রাজ্যের আইনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মহিলারা নিরাপদ নয়। তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, কাটমানি, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে বাংলা।
আজকের দিনে কলকাতার বাঙালিবাবুরাও চিন্তিত কলকাতার অবস্থা সম্পর্কে। এরপরই অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন, তৃণমূল কীসের ভিত্তিতে ভোট চাইছে? কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছেন একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, একটা দলের প্রধান। এমন কথা আমার গোটা রাজনৈতিক জীবনে কখনও শুনিনি। অরাজনৈতিক অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি রাজ্যকে। এরপরই তাঁর খোঁচা, ‘আমি বলে দিই, নির্বাচনের সময় আধা সমারিক বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রণ করে’।
এরপরই তিনি বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপিই। তিন দফার ভোটে বিজেপির ৬৫-৬৭ আসন পাওয়া নিশ্চিন্ত। ক্ষমতায় এলে কি কি করবে তাঁদের সরকার সেটারও খানিকটা আভাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বললেন, কলকাতা সিটি অফ জয় ছিল এবং থাকবে। তবে আগামীদিনে কলকাতা ‘সিটি অফ ফিউচার’ হবে। তিনি বলেন, একটা সময়ে সিঙ্গাপুরের ডেভেলপমেন্ট মডেল ছিল কলকাতা। সেইমতো করেই কলকাতার পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে। কলকাতাকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ সিটি করবে বিজেপি সরকার।
তিনি আরও বলেন, বাংলার সংস্কৃতির যা হাল দিদি করেছন! নোবেল প্রাইজের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার। এবং অস্কারের মতো সত্যজিৎ রায় পুরস্কার চালু হবে। কলকাতা হবে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী। পাশাপাশি কলকাতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও তাঁর পরিকল্পনা জানান। অমিত শাহ বলেন, শহরের সব গলিতে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। কমবে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। তিনি আরও বলেন, আমাদের ইস্তাহারে সর্বক্ষেত্রের উন্নয়নের কথা রয়েছে। সোনার বাংলার আর্থিক পুনরুত্থান টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। বিনিয়োগ আনার জন্য সরল পদ্ধতি আনব।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback