পঞ্চম দফার ভোটের পর দিনই নদিয়ার চাকদহে উদ্ধার হল এক বিজেপি কর্মীর দেহ। ঘটনার পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চাকদহ থানার এনায়েতপুর মণ্ডলপাড়া এলাকায় বাড়ির উঠানেই মিলল দিলীপ কীর্তনীয়ার (৩১) দেহ। তাঁর নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে বলেই দাবি স্থানীয়দের। বিজেপির দাবি পিটিয়ে খুন করা হয়েছে দিলীপকে। অভিযোগের তির শাসকদলের এক নেতার দিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিলীপ কীর্তনীয়া সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত। পঞ্চম দফায় ভোটের দিন একটি বুথে লাইন নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি দুলাল মণ্ডলের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। দুলালের পরিবারের দাবি, শনিবার রাতে তাঁকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দিলীপ। রবিবার ভোরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ বাড়ির উঠানেই পাওয়া যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা চড়াও হয় তৃণমূল নেতা দুলাল মণ্ডলের বাড়িতে। ব্যপক ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক দুলাল।
খুনের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে চাকদহে। বিজেপি প্রার্থী বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ বলেন, “শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় গণ্ডগোল তৈরি করেছে তৃণমূল। ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে আমাদের কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। অপরদিকে চাকদহের তৃণমূল প্রার্থী শুভঙ্কর সিংহ জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর অভিযোগ, ঘটনাটি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বিজেপি নেতা তথা দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। পোলিং এজেন্টকে বাড়ি থেক ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করছে ওরা। বিজেপি করা তৃণমূলের কাছে অপরাধ। দলের উপরতলা থেকে বিরোধী শূন্য রাজনীতি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওদের কর্মীদের। তাই দলের নিচুতলার কর্মীরা খুনোখুনি করছে। যদিও পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন্তও শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback