বেলা বাড়তেই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন অংশ থেকে অশান্তির খবর আসছিল। বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট বসতে পারছেন না। সব খবরই পাচ্ছিলেন তিনি। ফলে আর ঘরে বসে থাকতে পারলেন না তৃণমূল নেত্রী। অবশেষে নন্দীগ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে দুপুর সোয়া একটা নাগাদ বের হলেন তিনি। হুইল চেয়ারেই ঘর থেকে বাইরে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একটি নীল রঙের গাড়িতে সাওয়ার হয়ে বুথে বুথে পরিদর্শনে গেলেন। জানা যাচ্ছে, তিনি গোকুলনগর, বলরামপুর, বয়াল যাবেন। ওই সমস্ত এলাকায় তৃণমূল এজেন্টরা ভয়ে বুথেই বসতে পারছেন না বলেই অভিযোগ। কিন্তু মমতার কনভয় কিছুটা এগোতেই বিপত্তি। তাঁর গাড়ি ঘিরে তুমুল হল বিক্ষোভ। গাড়ি ঘিরে চলল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পরে বয়াল ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর বুথে যান তৃণমূল নেত্রী। হুইলচেয়ারে বসেই সেখানে গ্রামের মধ্যে ঢুকে যান তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের বয়াল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছানোর পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। মহিলারাও ছিলেন পর্যাপ্ত পরিমানে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীকে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback