নজরে মতুয়া ভোট। তাই রবিবাসরীয় প্রচারে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইঘাটায় পৌঁছে গেলেন। অপরদিকে বনগাঁ স্বরূপনগরে সভা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সল্প দূরত্বেই দুই মহারথীর সভা ঘিরে উত্তেজনায় কাঁপছে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঠাকুরনগর মহাধাম। এখানে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে নরোত্তম বিশ্বাসকে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হলেও ঠাকুরবাড়ির সদস্য নন। অপরদিকে বিজেপি প্রার্থী করেছে ঠাকুরনগরের সদস্য সুব্রত ঠাকুরকে। ফলে লড়াই এবার জমে গিয়েছে। এদিন তৃণমূলনেত্রী গাইঘাটা থেকে ব্যাখ্যাও দিলেন কেন তিনি ঠাকুর বাড়ির কাউকে প্রার্থী করেননি।
তিনি জানালেন, ‘শুধু ঠাকুর পরিবারের কেউ মন্ত্রী হবেন, কেউ সাংসদ, কেউ আবার বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধান হবেন, এমনটা হতে পারে না। হওয়া উচিতও নয়। মমতাবালা (ঠাকুর) আমাদের সঙ্গেই রয়েছে। তা সত্ত্বেও এবার প্রার্থী করা হয়েছে নরোত্তমকে’। এরপরই তিনি প্রয়াত বড়মার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন। এবং জানালেন, ‘বড়মা আমাকে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর অবর্তমানে মতুয়াদের দেখে রাখার কথা বলেছিলেন। সেই কথা আমি রাখব’। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বড়মার চিঠির কথা উল্লেখ করে মতুয়াদের কাছে নিজেকেই প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন অবশ্য নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপি এবং অমিত শাহকে বিঁধতেও ছাড়েননি মমতা।
মমতার তোপ, মতুয়ারা প্রত্যেকে নাগরিক। বিজেপি মিথ্যে নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নির্বাচনের পর পালিয়ে যাবে। তিনি আরও বললেন, সকলে নাগরিক। কে নাগরিক নয়? আপনারা যদি নাগরিক না হন আপনাদের জমি, বাড়ি, গাড়ি নেই? সবাই নাগরিক, আমরা সবাই সমান। আপনাদের আলাদা করে নাগরিকত্ব আবার কী দেবে? নির্বাচন এলেই মিথ্যাকথা বলে ভোট চাওয়া। ভাঁওতাবাজি। আর সারা বছর মতুয়ারা কেমন আছে, তা কি একবারও দেখার চেষ্টা করে?
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback