ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের রাভা বসতি যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেও থাকে। এই বসতিতে প্রায় ৩০০ পরিবারের বাস। অথচ এই এলাকায় রাস্তাঘাট বলতে কিছুই নেই, নেই ব্রিজ ফলে যাতায়াতের সমস্যা তীব্র। সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের। কয়েকটি টিউবওয়েল রয়েছে বটে তবে সেগুলি অতিরিক্ত আয়রণযুক্ত বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে বেশিরভাগই পানের অযোগ্য।
বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি ভোটেই জনপ্রতিনিধিরা আসেন, ভোটপ্রার্থীরা আসেন, নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু ধূপগুড়ির রাভা বসতি সেই তিমিরেই থাকে। উন্নয়নের ছিটেফোঁটা পৌঁছায়নি এখানে। নেই কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নিকটবর্তী হাসপাতালটিও বহু দূরে। ফলে চিকিৎসার প্রয়োজনে এই রাভা বসতির বাসিন্দাদের ছুটতে হয় দূরে ধূপগুড়ি শহরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাভা বসতি এলাকায় পর্যটনের ব্যপক সম্ভাবনা থাকলেও সরকার উদাসীন। এখানে বাম আমলে তৈরি হয়েছিল গোসাইহাট ইকো ট্যুরিজম পার্ক। যা কোনও এক অজ্ঞাত কারণে বিগত দশ বছর ধরে বন্ধ।
ফলে এই ইকো ট্যুরিজম পার্কের ওপর নির্ভরশীল রাভা বসতির প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ আজ কর্মহীন। বেশিরভাগই অন্য কাজ খুঁজে নিয়েছেন। কিন্তু গোঁসাইহাট ইকো ট্যুরিজম পার্ক বন্ধ থাকায় ক্ষোভ রয়েছে বসতি বাসীর। ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় ভোট ধূপগুড়িতে। কিন্তু রাভা বসতির মানুষজন এই ভোট নিয়ে উদাসীন, কারণ বহু বছর ধরেই উপেক্ষিত এখানকার বাসিন্দারা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback