এই পর্বের ভোটে সকলের নজরে 'বিধাননগর' বিধানসভা কেন্দ্র। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী তৃণমূলের সুজিত বসু এবং বিজেপির সব্যসাচী দত্ত। একসময় একদলেই ছিলেন দুজন। প্রয়াত বাম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর একসময়ের শিষ্য সুজিত ভোটের খেলাটা জানেন। গুরুর কাছ থেকে শিখেছেন কোথায় কখন কি করতে হবে। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রান্তে যেতে গিয়ে বাঁধা পেলেন কালিন্দীর বুথে। পরে অবশ্য বেরিয়ে এলেন। অন্যদিকে সব্যসাচী দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের এবং পরে তৃণমূলের লড়াকু নেতা। ভোটের সময়ে বহু বাঁধা পেয়েছিলেন, মারধরের অভিজ্ঞতা আছে।
বিধাননগর কেন্দ্র দুটি ভাগে বিভক্ত একটি সল্টলেক অন্যটি দক্ষিণ দমদম | দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা সুজিত, এলাকার সব মানুষের সাথে পরিচয় আছে এবং জনপ্রিয় তিনি | পাশাপাশি সল্টলেকে সব্যসাচী যথেষ্ট জনপ্রিয় | সল্টলেকে তৃণমূল পিছিয়ে থাকে কাজেই সব্যসাচী সল্টলেকে বনবন করে ঘুরছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় উত্তাপ বাড়ে এবং ঢিল ছোড়া ছুড়ি থেকে মারামারি শুরু হয়েছে বিধাননগরের শান্তিনগর এলাকার ২৫৬ নম্বর বুথে। দুদলের কর্মী সমর্থকদের মারামারি শুরু হয়ে যায়, ব্যপক ইটবৃষ্টিও হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপরই কিছুটা শান্ত হয় পরিবেশ। এই উত্তাপ নিয়ে সব্যসাচী জানালেন, সুজিতবাবুর কল্যানে এলাকা উত্তপ্ত হচ্ছে এবং ভোট দিতে পুলিশকে ব্যবহার করছে তৃণমূল। সুজিত অবশ্য জানালেন এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback