পেশায় চিকিৎসক সানা রামচাঁদ থাকেন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের শিকারপুর এলাকায়। তিনিই পাকিস্তানের পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস Pakistan Administrative Services (PAS) পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন। জানা যাচ্ছে মোট ১৮,৫৫৩ জন চলতি বছরে PAS পরীক্ষায় বসেছিলেন। এরমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ২২১ জন পরীক্ষার্থী। সফলদের তালিকায় নাম ছিল সানা রামচাঁদের। পরবর্তী মাইকোলজিক্যাল ও মৌখিক পরীক্ষার পর মেডিকেল পরীক্ষাতেও নির্বাচিত হন সানা। ফলে পাকিস্তানে ইতিহাস তৈরি করলেন প্রথম হিন্দু মহিলা হিসেবে পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়ে। উর্ত্তীর্ণদের ২২১ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ৭৯ জন, যারমধ্যে একমাত্র হিন্দু হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানা। বিবিসি উর্দু জানিয়েছে, সানা রামচাঁদ পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা যিনি PAS পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ পদে আসীন হতে চলেছেন।
Waheguru Ji Ka Khalsa Waheguru Ji Ki Fateh🦅
— Dr Sana Ramchand (@DrSanaRamchand) May 7, 2021
✨🙏❤️💎❤❤❤
I'm pleased to share that by the grace of ALLAH ALMIGHTY, I have cleared the CSS 2020 and allocated to PAS. All credit goes to my parents. #css2021#100mostbeautifulwomen2021 pic.twitter.com/Jg3WqsWfWz
সানা নিজেও সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘ওয়াহেগুরু জি কা খালসা ওয়াহেগুরু জী কি ফাতেহ... অত্যন্ত আন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আল্লাহ তায়ালার কৃপায় সিএসএস ২০২০ পরীক্ষা পাশ করেছি এবং পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এর সমস্ত কৃতিত্ব আমার পিতামাতার’। প্রসঙ্গত ভারতের আইএএস (IAS) পরীক্ষার মতোই পাকিস্তানে অত্যন্ত এলিট পরীক্ষার মধ্যে পড়ে PAS পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পাস করলে পরীক্ষার্থীরা পুলিশের উচ্চপদে, জেলা শাসকের পদে বা পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দিতে পারেন। সানা রামচাঁদের বাড়ি সিন্ধ প্রদেশের শিকারপুরে। এই এলাকায় হিন্দুদের আধিক্য বেশি। ফলে সানার সাফল্যে খুশি শিকারপুরের বাসিন্দারা। সানা ইতিমধ্যেই এমবিবিএস (MBBS) পাস করে করাচির একটি সরকারি হাসপাতালে RMO হিসেবে কর্মরত। এবার PAS পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে সহকারি কমিশনার হিসেবে কাজে যোগ দিতে চলেছেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback