করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্য জারি হয়েছে কার্যত লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ লোকাল ট্রেন সহ যাবতীয় গণপরিবহন। তবুও কিছু অফিস, জরুরী পরিষেবা চালু রয়েছে। ফলে ওই পরিষ্বার সঙ্গে যুক্তদের কাজে যোগ দিতে হিমশিম অবস্থা। অপরদিকে হাতে গোনা কয়েকটি স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালাচ্ছে পূর্ব রেল। হাওড়া ও শিয়ালদা ডিভিশনে রেলকর্মীদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য চালানো হচ্ছে ট্রেনগুলি। পরে রাজ্য সরকারের অনুরোধে সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ওই স্টাফ স্পেশালে ওঠার অনুমতি দিয়েছে রেল, তবে নির্দিষ্ট কামরায়। অভিযোগ, তবুও বহু মানুষ উঠে পড়ছেন স্টাফ স্পেশালে। এই পরিস্থিতিতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেল। রেল ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া আর কেউ ওই ট্রেনে চড়লেই এবার থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। এমনটাই জানানো হল রেলের তরফে।
করোনা আবহে স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেন ছাড়াও চলছে স্পেশল মেল-এক্সপ্রেস, পার্সেল এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ি। ফলে পরিষেবা বজায় রাখতে রেলকর্মীদের কাজে যোগ দিতেই হচ্ছে। তাঁদের জন্যই চালানো হচ্ছে স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেন। কিন্তু জীবন এবং জীবিকার স্বার্থে অনেকেই উঠে পডছেন ওই ট্রেনে। ফলে সেই ভিড় হয়ে যাচ্ছে ট্রেনগুলিতে। যা এবার কড়া হাতেই দমন করতে উদ্যোগী রেল। সূত্রের খবর, গত তিনদিনে শিয়ালদহ স্টেশনে ওই ট্রেনে ভ্রমণের অপরাধে ৫৩ জন যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ। শিয়ালদার ডিআরএম এসপি সিং জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মী বাদে যাঁরাই ট্রেন চড়বেন, তাঁরা কার্যত বিনা টিকিটের যাত্রী। তিনি আরও বলেন, এখন লোকালের টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। মান্থলি সিজন টিকিটও ট্রেন বন্ধের দিন থেকে কার্যকর নয়। ফলে মান্থলি দেখালেও তিনি বিনা টিকিটেই ভ্রমণ করছেন। এটা রেল আইনে অপরাধ, তাই তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback