নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত সোমবার সকাল থেকেই এই ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের জারি করা কার্যত লকডাউন উপেক্ষা করেই কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক জড়ো হয়ে যান নিজাম প্যালেসের সামনে। বেলার দিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিজাম প্যালেস চত্বর। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতর নিজাম প্যালেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকে ইট-পাথর-বোতল ছোড়া হয়। পরে অবশ্য পুলিশ ওই বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। এবার ওই ঘটনার প্রায় তিনদিন পর পুলিশ চার়জনতে গ্রেফতার করল। সূত্রের খবর, শেক্সপিয়র সরণী থানায় একটি মামলা রুজু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায়। তদন্তে নেমে পুলিশ অবশেষে চারজনকে গ্রেফতার করল শেক্সপিয়র সরণী থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে ধৃতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি খিদিরপুর এলাকায় এবং একজনের বাড়ি বেনিয়েপুকুরে। সূত্রের খবর, ওই দিন নিজাম প্যালেসে বিক্ষোভের সমস্ত ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়েছে সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। চাপের মুখে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। এরপরই এই গ্রেফতারি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে আরও অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই চারজনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। তাঁদের জেরা করেই বাকিদের খোঁজ চালানো হবে। অপরদিকে, আইনজ্ঞদের একাংশের দাবি, নিজাম প্যালেসে ওই তাণ্ডবের জেরেই যে চার নেতা-মন্ত্রীর জামিনের বিষয়টি জটিল হয়ে উঠেছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback