আরও শক্তি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। পাশাপাশি দ্রুত বেগে ধেয়ে আসছে স্থলভূমির দিকে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং ওডিশার বালাসোর থেকে মাত্র ৩০০ কিমি দূরে অবস্থান কমছে। স্থলভূমির যত কাছে এগিয়ে আসছে ইয়াস, ততই উপকূলীয় এলাকায় বাড়ছে হাওয়ার দাপট। সেই সঙ্গে দিঘা, বকখালির মতো সৈকতে শুরু হয়েছে প্রবল জলচ্ছ্বাস। এরমধ্যেই শুরু হয়েছে ভরা জোয়ার। ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। জোয়ারের জল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামের দিকে ঢুকে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই জেলার রামনগর ১ ব্লকের জামড়া শ্যামপুর কাইমা গ্রামে সমুদ্রের জল ঢুকে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখানে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রসাসনের কর্তারা।
অপরদিকে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের কচুবেড়িয়ায় মুড়ি গঙ্গার বাঁধে ফাটলের খবর
পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কপিলমুনির আশ্রমে এবং মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সমুদ্রের জল
চলে এসেছে। পাথরপ্রতিমার জি প্লটেও বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ঘোড়ামারা দ্বীপেও
বাধ ভেঙে সমুদ্রের জল ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে তীব্র আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন
গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম
হাজরা।
ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওডিশার বালাসোর থেকে সাগরের মাঝামাঝি এলাকায় স্থলভূমি স্পর্ষ করবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ইতিমধ্যেই সেটি শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে উপকূল এলাকায়। দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বহু এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। হাওয়া অফিসের মতে, মঙ্গলবার মাঝরাত থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলভাগে ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। তবে ল্যান্ডফলের সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১৪৫-১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল অঞ্চলেও শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া এবং জলচ্ছ্বাস। সর্বোচ্চ চার মিটার জলচ্ছ্বাস হতে পারে বলেই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback