কথায় আছে, ‘নদীর পাড়ে বাস, চিন্তা বারো মাস’। ঠিক একবছর আগে সমুদ্র থেকে ধেয়ে এসেছিল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান। এক বছরের মাথায় ফের আসছে আরেকটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। সেবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে সুন্দরবন সংলগ্ন সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ থেকে শুরু করে মিনাখাঁ, হাড়োয়ায় একপ্রকার ধ্বংসলীলা চলেছিল। ঝড়ের দাপটে ঘর-বাড়ি, মাছ ধরার নৌকা, বাঁধের ক্ষতির সঙ্গে প্রাণহানীও ঘটেছিল সেবার। সেই তাণ্ডবলীলার ক্ষত এখনও সারেনি অনেক জায়গায়। আবার আসছে ঘূর্ণিঝড়।
ফলে সিদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনবাসী। আমফান পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের থেকে প্রাপ্ত সামান্ন্য ত্রিপলে কোনরকমে মাথা গোজার ঠাঁই গড়েছিল অনেকে। সরকারের দেওয়া ত্রিপল ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি তাঁদের নদীর পারের অস্থায়ী বাসস্থান। সুন্দরবনের উপকূলবর্তী পাটলিখানপুর, ঘুনি, মোহনপুর, কুমারজোলা সহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের মানুষজন তাই আজ আতঙ্কেই ঘরবাড়ি ছাড়ছেন। কাছেপিঠের ফ্লাড সেন্টারে নিজেদের ঝুপড়ি থেকে দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে ওই ফ্লাড সেন্টারে গিয়ে জমা করছেন। আসলে তাঁরা ‘ঘর পোড়া গরু’, আমফানের ধ্বংসলীলা তাঁরা সচক্ষে দেখেছিলেন।
ঝড় থামার পর গুটিগুটি পায়ে গ্রামে ফিরে দেখেছিলেন সম্বল যা ছিল সবটাই গেছে। এরপর তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ডাসা নদীর ধারে বাঁধের উপরেই অস্থায়ী ঝুপড়ি। কিন্তু বছর ঘুরতেই ফের ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক। এবারও সেই আতঙ্ক ফিরিয়ে আনল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। যদিও এবার প্রশাসন আগেভাগেই তৎপর। জেলা প্রশাসনের তরফে আগে থেকেই নদী বাঁধ মেরামতি সহ ফ্লাড সেন্টারগুলি পরিস্কার করার কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্কুলগুলিতেও নীচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback