আপাতত সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে না গেলেও করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে বাড়তি বিধিনিষেধ জারি করছে রাজ্য সরকার। কোভিড মোকাবিলায় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে বুধবার এমনটাই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একনজরে রাজ্যের জারি করা বিধিনিষেধঃ
*বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন
*৫০ শতাংশ চালু থাকবে মেট্রো সহ বাকি সরকারি গণপরিবহণ
*৭ মে থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ও বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে RTPCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক
*সমস্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত
*সকালে দোকান-বাজার খোলা থাকার সময়সীমা অপরিবর্তিত
*বিকেলে দোকান-বাজার খোলা থাকবে ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত
*সোনার দোকান খোলা থাকবে বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত
*চালু থাকবে সমস্ত রকমের ‘হোম ডেলিভারি’ পরিষেবা
*সরকারি ক্ষেত্রে বহাল থাকছে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজের নির্দেশ
*বেসরকারি ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশ কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করার পরামর্শ
*শিল্পাঞ্চল ও চা-বাগানের ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করানোর আবেদন
*শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বিউটি পার্লার, স্পা, সুইমিং পুল, জিম ইত্যাদির ক্ষেত্রে আগের নির্দেশ বহাল
*আগাম অনুমতি ছাড়া বন্ধ সব ধরনের জমায়েত
*অনুমতি মিললেও কোনও জমায়েতেই ৫০ জনের বেশি নয়
মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য, দমকল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির মতন জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না। প্রতিদিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং তার ভিত্তিতে বদল হতে পারে নির্দেশিকা। তিনি আরও বলেন, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রাজ্যে করোনা রোগীদের জন্য আরও ৩০০০ বেডের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শিল্পক্ষেত্র থেকে অক্সিজেন নেওয়া হচ্ছে। তবে চাহিদা মতো ভ্যাকসিন এখনও রাজ্যের হাতে নেই। ৩ লক্ষ ভ্যাকসিনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও রাজ্যের হাতে এসেছে তার অর্ধেক। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার পাবেন সাংবাদিক, পরিবহণ কর্মী ও হকাররা। চিন্তাভাবনা চলছে আরও প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরি করারও। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা ঠেকাতে রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
বুধবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারকরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback