২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে চনমনে পৃথিবী ধীরে ধীরে আতঙ্ক এবং হাহাকারের আবহে চলে এল। মারণ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে স্তব্ধ হল গোটা বিশ্ব। মৃত্যুর মিছিল শুরু হল বিশ্বজুড়ে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও মাথা নত করল অতি ক্ষুদ্র এই ভাইরাসের কাছে। নভেল করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি যে চিনেই সেটা আজ কার্যত সকলেই জানেন। ২০২০ সালের প্রথম থেকেই আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রপ্রধান করোনা অতিমারীর জন্য চিনকেই সরাসরি দায়ী করেছিলেন। এবার সামনে এল এক ভয়ানক তথ্য। ফাঁস হল চিনের এক গোপন পরিকল্পনার কথা। জানা যাচ্ছে অতিমারীর পাঁচ বছর আগেই ২০১৫ সালে একদল চিনা বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকরা SARS করোনা ভাইরাসকে একটি 'নতুন যুগের জেনেটিক হাতিয়ার' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই SARS করোনা ভাইরাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা ভাবনাও করা হয়েছিল।
তবে ফাঁস হওয়া চিনা নথি ভুয়ো কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রখ্যাত সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট পটারকে। তিনি যাচাই করে জানিয়ে দেন, ‘ওই চিনা নথি একেবারেই ভুয়ো নয়। কিন্তু এতে যা লেখা রয়েছে, তা গবেষকদেরই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে, বিষয়টি কতটা গুরুতর’। ‘উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়া’ সাপ্তাহিক পত্রিকাটি দাবি করছে, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতিকে কী ভাবে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারেই গবেষণা করছিলেন চিনা গবেষকরা। চিনা গবেষকদের ধারণা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই হবে ‘জৈব অস্ত্র’ দিয়ে, আর সেই কারণেই সার্স করোনাভাইরাসকে মারণ ভাইরাস হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল চিন। পুরো বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চিনা সরকারি মাধ্যমে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback