ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই রাজ্য সরকারের অনুরোধের পর হাওড়া ও শিয়ালদা ডিভিশনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। আপাতত ১৪ দিনের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ হলেও বিশেষজ্ঞদের অনুমান আরও কিছুদিন বন্ধ রাখা হতে পারে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে কেবলমাত্র রেলকর্মীদের জন্যই চালু হয়েছিল স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। পরে রাজ্য সরকারের অনুরোধেই স্বাস্থ্যকর্মীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দিষ্ট দুটি কামরা চিহ্নিত করে দেয় রেল। জানানো হয়েছে সামনের দিকের দুটি কামরায় বিশেষ অনুমতি পত্র নিয়েই ওই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়তে পারবেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ উঠছে সাধারণ মানুষরাও জোর করে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠে পড়ছেন বিভিন্ন শাখায়। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ভিড়ের কারণে সেই ট্রেনেই উঠতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর, সোনারপুর ও বালিগঞ্জে স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেনের সব কামরাতেই ভিড় করছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে রেল কর্তৃপক্ষ।
এমনকি বারুইপুর জিআরপি-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনে চড়ার সময় আইকার্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া আর কেউ স্টাফ স্পেশালে উঠতে পারবেন না। স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর নজর রাখতে ট্রেনগুলিতে কামরা আলাদা করে নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। যেগুলি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যই তা বরাদ্দ থাকছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মীরাই বিশেষ পাস নিয়ে ওই কামরায় উঠতে পারবেন। অন্য কেউ যাতে স্টাফ স্পেশালে উঠতে না পারেন সেটা দেখতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে। টিকিট পরীক্ষক, জিআরপি এবং আরপিএফকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, শুধুমাত্র শিয়ালদহ ডিভিশনে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন অল্প কয়েকদিনের মধ্যে। ফলে টিকার ওপর জোর দিতে শুরু করেছে রেলের বিভিন্ন ডিভিশনগুলি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback