সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানোর। রাজ্য ক্রমাগত বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর জেরে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আগামী ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন লোকাল ট্রেন পরিষেবা, বাকি গণপরিবহনেও ৫০ শতাংশ চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। বাস-মেট্রো চালানো হচ্ছে ৫০ শতাংশ, অন্যদিকে বন্ধ লোকাল ট্রেন, ফলে সেই বাসেই গাদাগাদি ভিড়। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার অন্যতম ভরসা এই লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, হতাশ নিত্যযাত্রীরা। অনেকেই বলছেন লকডাউন ঘোষণা হলে ভালো হতো। অফিস চালু থাকায় বাসেই গাদাগাদি করে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। ফলে সংক্রমণ কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাওড়া-শিয়ালদার মতো স্টেশনগুলি খাঁ খাঁ করছে। কিন্তু রেল স্টেশন ছেড়ে নিত্যযাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ছে বড় রাস্তাগুলিতে। কলকাতার শহরতলি এবং পার্শবর্তী জেলাগুলি থেকে রোজই লক্ষ লক্ষ মানুষ লোকাল ট্রেনেই কর্মস্থলে পৌঁছে যেতেন। এবার তাঁরাই বাস বা বিকল্প পথে কাজে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। অপরদিকে বাস কম থাকায় যেটুকু চলছে তাতেই ঠাসা ভিড়। সকাল থেকেই এই ছবি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বাস ডিপোগুলোতে। কোথাও লাইন দিয়ে, কোথাও ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও কলকাতাতেও ধরা পড়েছে এই ছবি। ফলে সংক্রমণ কি আদৌ কমবে? প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback