দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত ন'টা নাগাদ দিউ ও উনার মধ্যে গুজরাত উপকূলের সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’ সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৫০-১৭৫ কিলোমিটার। স্থলভূমিতে প্রবেশের প্রক্রিয়া শেষ হয় রাত ১২টা নাগাদ। এর কিছুক্ষণ পরই কার্যত শক্তি হারায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় তকতে। তবে এর প্রভাবে মঙ্গলবারও গুজরাট, রাজস্থানের বিস্তৃর্ণ এলাকায় চলবে ঝড়বৃষ্টি। অপরদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় তকতে-র দাপটে মহারাষ্ট্রে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। গুরুতর আহত অন্তত ১৭ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গুজরাটের উপকূলবর্তী জেলাগুলির। সোমবার রাতে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র উপকূলে ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়ে 'তকতে'। এই রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক।
ঝড়ের দমকা হাওয়ায় উপড়ে পড়েছে একাধিক গাছ, ইলেকট্রিক পোস্ট। ভেঙে গিয়েছে বহু ঘর-বাড়ি, দোকানপাট। গুজরাট উপকূলের বহু এলাকায় যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। বন্ধ বা অবরুদ্ধ বহু রাস্তা। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল দমন ও দিউ এলাকায় কোনও যোগাযোগ নেই। গুজরাট প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গুজরাটের উপকূলে নীচু জায়গা থেকে প্রায় ২ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছিল আগেই। ফলে প্রাণহানীর সংখ্যা কম। আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় আহমেদাবাদ, সুরাট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় নামানো হয়েছে সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারতীয় নৌসেনাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। নৌসেনার তিনটি জাহাজ আইএনএস কলকাতা, আইএনএস কোচি ও আইএনএস তালওয়াড় নামানো হয়েছে জরুরী উদ্ধারকার্যে। ইতিমধ্যেই তাঁরা মুম্বই উপকূলে দুটি বার্জ থেকে ৪১০ জনকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback