কে হবেন মমতা মন্ত্রিসভার নতুন অর্থমন্ত্রী? রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠনের আগে এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে সকলের মুখে। কারণ শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ২০১১ ও ২০১৬ সালে পর পর দু’বার খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে মমতা মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। গত ১০ বছর ধরে নানাভাবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন তিনি। তাঁর আমলে বেড়েছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। জিএসটি কার্যকরের ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। চালু হয়েছে একাধিক সামাজিক প্রকল্প। সরকারি কর্মচারিদের জন্য চালু হয়েছে সংশোধিত বেতনক্রম। আমফান বা করোনার ধাক্কা সামলেও সচল রয়েছে রাজ্যের অর্থনীতি।
তাই স্বভাবতই কে হবেন রাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী, এই প্রশ্ন যথেষ্ট ভাবাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। সূত্রের খবর, নির্বাচনে জয়ীদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছেন বলে মনে করছে না দল। আর তাই অমিত মিত্রকে বুঝিয়ে রাজি করানোর সম্ভাবনা এখনই খারিজ করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে পরে তাঁকে জিতিয়ে আনা হতে পারে। অন্যথায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গুরুত্বপূর্ণ এই দফতরটি নিজের হাতে রাখতে পারেন। না হলে অর্থনীতিতে বিশেষজ্ঞ কোনও ব্যক্তিকে এই মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ কেউ আবার ভাবী অর্থমন্ত্রী হিসাবে বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও সামনে আনছেন।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী নিয়ে এই জল্পনার পাশাপাশি গু়ঞ্জন চলছে মমতার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্যদের নিয়েও। কারণ আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে লড়েও হারতে হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেবদের। টিকিট পাননি বিদায়ী মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। তাই মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এবার তারুণ্য ও যোগ্যতাকে মান্যতা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। বাড়তে পারে খ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব। প্রয়াস থাকবে আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখারও। উত্তর ২৪ পরগনার এক যুব নেতার পাশাপাশি মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে নির্বাচিত তিন-চারজন বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। চণ্ডীপুরের তারকা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর মন্ত্রিসভায় আসা নিয়েও চলছে জোর জল্পনা। পাশাপাশি মমতার তৃতীয় মন্বাত্দরিসভা থেকে পড়তে পারেন একাধিক পুরনো মন্ত্রীও।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback