সোমবার সকালেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ চারজন নেতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। নারদ ঘুষ মামলায় গ্রেফতার হন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকেই কলকাতায় সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতর নিজাম প্যালেসের সামনে জমতে শুরু করে ভিড়। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন একে একে। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে ওই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হয় পুলিশকে।
সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক। কিন্তু বেলা গড়াতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নিজাম প্যালেস চত্বর। ওই বিল্ডিংয়ের সব গেট বন্ধ করে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙেই নিজাম প্যালেসের ভিতর ঢোকার চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে।
এরপরই পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে শুরু হয়ে যায় ইটবৃ্ষ্টি। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ইট, পাথর, জুতো ও জলের বোতল ছুঁড়তে শুরু করেন। গোটা নিজাম প্যালেসের সামনের রাস্তা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য রাজ্য সরকারের ঘোষিত কার্যত লকডাউনের বিধি শিকেয় তুলে নিজাম প্যালেসের সামনে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। পাশাপাশি ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ধৃতদের আদালতে পেশ করার বদলে ভার্চুয়াল শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। অপরদিকে এখনও পর্যন্ত নিজাম প্যালেসের ভিতরেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback