দুপুর ১২টার মধ্যে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়ভাবে টর্নেডোর সম্ববনা তৈরি হল। এমনটাই আশঙ্কা করছেন আলিপুর আবহাওয়া অফিসের আবহবিদরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে জানালেন, টর্নেডোর আশঙ্কা রয়েছে, এই সময় কেউ বাড়ি থেকে বের হবেন না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলেই উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর এবং হুগলির ব্যান্ডেলে স্থানীয়ভাবে টর্নেডো তৈরি হয়েছিল। মাত্র কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে কার্যত তছনচ হয়েছিল বিস্তৃর্ণ এলাকা। বাড়িঘর, দোকানপাট ও গাছ উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে ফেলে ওই টর্নেডো। ফলে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। হুগলিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঝড়ের কবলে। আবহবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালের জেরেই দুর্যোগ বাড়ছে। সেই কারণেই কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় আচমকা তৈরি হতে পারে টর্নেডোর মতো ঘূর্ণিঝড়। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাড়িঘর এবং গাছপালা। এই সময়ে কাউকে বাড়ির বাইরে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিক, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিস্তৃর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া চলছে। গোসাবা, কুলিতলি, রায়দিঘি, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ এবং গঙ্গাসাগরের বহু গ্রামে জল ঢুকে গিয়েছে। চরম সমস্যায় বাসিন্দারা। চলছে উদ্ধারকাজ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback