করোনা অতিমারীর কথা মাথায় রেখে কোভিডবিধি মেনে দু’দিনে সম্পন্ন হল নব নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ পর্ব। কিন্তু এই দু’দিনের একদিনেও শপথ নিলেন না বিজেপির দুই বিধায়ক। ফলে জল্পনা বাড়ল রাজ্য রাজনীতিতে। একুশের ভোটে একঝাঁক সাংসদকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই হেরেছেন, কিন্তু জিতেছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। নিশীথ কোচবিহারের দিনহাটা আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে। আর নদিয়ার শান্তিপুর বিধানসভা আসনে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। শুক্রবার বিধানসভায় বিধায়কদের শপথগ্রহণের শেষ দিনেও দেখা গেল না তাঁদের। বিধায়ক পদে শপথ নিলে তাঁদের ছাড়তেই হত সাংসদ পদ। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ওই দুটি লোকসভা আসন ছাড়তে চাইছে না রাজ্য বিজেপি। তাই তাঁদের বিধায়ক পদে শপথ নিতে মানা করা হয়েছে সম্ভবত। যদিও কেন তাঁরা শপথ নিলেন না তা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সরকার গঠন তো দূর অস্ত, তিন অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় জিতে আসা দুই বিজেপি সাংসদকে শপথ না নেওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় হারের পর যদি ওই দুই লোকসভা আসনে ভোট হয় তবে সেখানেও হারের সম্ভবনা তৈরি হতে পারে। এই আশঙ্কাতেই দুই জয়ী বিধায়ককে শপথ নিতে মানা করা হতে পারে। রাজ্যে ক্ষমতা দখল করলে মন্ত্রীসভা গঠনের জন্যই একঝাঁক সাংসদকে টিকিট দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।
জানা যাচ্ছে বিজেপির শোচনীয় হারের পর আর দুটি লোকসভা আসন হারাতে নারাজ বিজেপি। তাই ঝুঁকি নিয়ে জয়ী দুই বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভায় পাঠানো হল না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ফলে এই রানাঘাট এবং দিনহাটায় বিধানসভায় উপ নির্বাচন অবসম্ভাবী হয়ে পড়ল। কোচবিহার এবং শান্তিপুর বিধানসভা আসনে ফের ভোট হবে। অপরদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংদ মানস ভুঁইয়াও এবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। যদিও তিনি বিধায়ক পদে শপথ নিয়েছেন। ফলে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্যপদ ছাড়তে হবে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback