২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যত সামনে আসছে ততই হতাশা ছড়িয়ে পড়ছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে। প্রাথমিক ফল সামনে আসার পরও রবিবার বিজেপির সদর দফতরে ভিড়ভাট্টা ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই পিছোতে শুরু করে বিজেপি। ফলে মুরলিধর সেন স্ট্রিটের অফিস বা হেস্ট্রিংস দুটি জায়গাতেই ভিড় হালকা হতে শুরু করে। এদিন কলকাতায় বিজেপির সদর দফতর মুরলিধর স্ট্রিটের সামনে টাঙানো হয়েছিল সামিয়ানা। সকাল সাতটা থেকেই সেখানে প্রচুর বিজেপি নেতা কর্মীদের ভিড় জমেছিল। ছিল উৎসবের সব আয়োজন। কিন্তু বেলা যত এগিয়েছে ততই বিজেপি শিবিরে হতাশার ছবি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। অনেকেই পার্টি অফিস ছাড়তে শুরু করেন টিভিতে ফলাফলের চিত্র সামনে আসতেই। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, কী কারণে এমন হল তা পর্যালোচনা করা হবে। এ নিয়ে দলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অপরদিকে হেস্টিংসে বিজেপি নতুন নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি করেছিল ২০২১-এর ভোটের জন্য। ঝাঁ চকচকে এই অফিসই ছিল এবারের বিধানসভা নির্বাচনের ওয়ার রুম। কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উদ্যোগেই ১০ তলা বাড়ির ৪টি তল নিয়ে তৈরি হয়েছিল সেই কার্যালয়। সেখানে সব রাজ্য নেতার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের আলাদা আলাদা ঘর তৈরি ছিল হেস্টিংসে। ছিলেন পেশাদার কর্মীরা। রবিবার বেলা বাড়তেই এই অফিস কার্যত জনশূন্য হয়ে গেল। অন্যদিকে হেস্টিংস অফিসের সামনে ভিড় জমে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। একদল অতি উৎসাহী তৃণমূল কর্মী বিজেপির পার্টি অফিসে ঢোকার চেষ্টা করে। জানা যাচ্ছে, বিজয় উল্লাসে একটি মিছিল করছিল তৃণমূল কর্মীরা। ওই মিছিল থেকেই একদল হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। যদিও পুলিশ আটকে দেয়, শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ফলে দ্রুততার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback